Hits: 2
সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক হত্যা ও নড়াইলে প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিক্ষক নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, দেশে শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো চলমান ফ্যাসিবাদী শাসনের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশ।
শনিবার (০২ জুলাই) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা শহরের ডিবি রোডে আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষক নেতারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের গাইবান্ধা জেলা শাখার পক্ষ থেকে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক নেয়ামুল হক পামেলের সভাপতিত্বে ও প্রতিভা সরকার ববির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, সাবেক অধ্যক্ষ ও উদীচী জেলা সভাপতি জহুরুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ জেলা শাখার সভাপতি দেবাশীষ দাশ দেবু এবং অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন, ধীরেশ চক্রবর্ত্তী উজ্জল, কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ খোকন, তোফাজ্জল হক সরকার, জাকিউল ইসলাম, রাজু চৌহান, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ঢাকা আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে বখাটে ছাত্র জিতু ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এছাড়া নড়াইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনের সামনে গলায় জুতার মালা পরিয়ে চরম অপমান করা হয়েছে, যা জাতিকে কলংকিত করেছে। এসব অপকর্মের হোতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
তারা বলেন, কোনো দেশে যখন ফ্যাসিবাদী শাসন চলে, তখন সেখানে ধর্মীয় উন্মাদনা ও উগ্রবাদ তৈরি হয়। একটি সমাজে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যখন হাওয়া হয়ে যায় এবং রাষ্ট্র যখন অকার্যকর হয়ে পড়ে, তখন জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে থাকে। কারণ তাঁরা জানে, অপরাধ করে সে পার পেয়ে যাবে। ফলে দেশে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও হত্যা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এগুলো চলমান ফ্যাসিবাদী শাসনের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশ। বিচারহীনতার কারণে দেশে অপরাধ ঘটেই চলেছে।
বক্তারা বলেন, প্রশাসনের উপস্থিতিতে নড়াইলে একজন শিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এই ঘটনার পর দেশে প্রশাসনের আর কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এই সরকার জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষা, শিক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত কিছুই করতে পারছে না।
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সাপ্তাহিক দারিয়াপুর