Hits: 3
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাগদাফার্মের তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড নির্মাণের ঘোষণার প্রতিবাদে আদিবাসী সাঁওতালরা বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। তাদের সঙ্গে ওই এলাকায় বসবাসকারী বাঙালিরাও যোগ দেন। এসময় তারা বাপ-দাদার জমি রক্ষাসহ ৭ দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে আদিবাসী ও বাঙালিরা জাতীয় পতাকা, তীর-ধনুক, ঢোল-মাদল, দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালিন সময়ে বক্তব্য দেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, সদস্য স্বপন শেখ,
আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, তৃষ্ণা মুরমু প্রমুখ। এছাড়া অবস্থান কর্মসূচিতে আদিবাসীদের ৭ দফার দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক ও জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক
গোলাম রব্বানী মুসা, সাবেক ছাত্রনেতা ওমর হাবিব বাদশা, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হাসান দীপন, সাঁকোয়া ইপিজেড বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক কুশলাশীষ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ। বক্তারা বাগদাফার্ম এলাকায় বেপজার প্রস্তাবিত একতরফা ইপিজেড এর ঘোষণা প্রত্যাহার, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর সাঁওতালদের বাপ-দাদার জমি ও আশ্রয়স্থল কেড়ে না নেয়ার দাবি জানান।
পরে আদিবাসী নেতৃবৃন্দ বাগদা ফার্মের তিন ফসলী জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ না করা এবং শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু মঙ্গল মারডি হত্যার বিচারসহ ৭ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট বেপজার চেয়ারম্যান গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বাগদাফার্ম এলাকায় আদিবাসী সাঁওতাল ও বাঙালিদের পৈত্রিক জমির ওপর ইপিজেড নির্মাণের ঘোষণা দেন। এই ঘোষণার পর থেকেই সাঁওতালরা নিজেদের জমিতে ইপিজেড নির্মাণের ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সাপ্তাহিক দারিয়াপুর