Hits: 23
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় “৭ বছর ধরে শিকলবন্দি” মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা-মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলো পাবনা মানসিক হাসপাতালে। সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুর ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু লাইচ মো: ইলিয়াস জিকু, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম হক্কানী, ওয়ার্ড মেম্বার মোস্তাক আলীসহ মানসিক ভারসাম্যহীন মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে যান।
এময় তারা মোহাম্মদ আলীর পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়ে তাদেরকে বুঝিতে বাবা-মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে করে পাবনায় প্রেরণ করেন। সেই সাথে পরিবারটিকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দেন। এসময় মানসিক ভারসাম্যহীন মোহাম্মদ আলীর স্ত্রীর হাতে নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয়।
শিকলবন্দি মানসিক ভারসাম্যহীন মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছি। বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসলে তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবরটি প্রকাশের পর এসপি স্যার এসে সবকিছু দেখে গেছেন। সেই সাথে আজ এসে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য পাবনা হাসপাতালে পাঠালেন এবং সাহায্য-সহযোগিতা করলেন। এজন্য এসপি স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এসময় তিনি স্বামী সন্তানের চিকিৎসার পাশাপাশি একটি ঘরের আবেদন জানান।
পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ পায় “৭ বছর ধরে শিকলে বন্দী বাবা-মেয়ে” যেটি জেলা পুলিশের নজরে আসে। এর প্রেক্ষেতে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে আজ বাবা-মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। তারা যতদিন সুস্থ না হবে ততদিন তাদের চিকিৎসা চলবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯মার্চ “৭ বছর ধরে শিকলেবন্দি বাবা-মেয়ে” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার হয় বিভিন্ন মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সাপ্তাহিক দারিয়াপুর