Hits: 3
ব্রহ্মপুত্র নদীর অব্যাহত ভাঙনে উড়িয়া ও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের দু’পাশে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করে আসছে।
ভাঙন কবলিত এলাকায় ৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, জুনিয়র হাইস্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অন্যত্র স্থানান্তর করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কিন্তু কেতকিরহাট থেকে ব্রহ্মপুত্র বাঁধের পূর্ব এলাকা দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য প্রায় ৬ কিলোমিটার সরু কাঁচা রাস্তা ভুষিরভিটা হয়ে উড়িয়া ইউনিয়নের মশামারি বাজার পর্যন্ত মেরামত না করায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চলাচলে দূর্ভোগের কবলে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
এদিকে কেতকিরহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙন থাকায় গত বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৬শ’ মিটার এলাকা জিও ব্যাগ দিয়ে নদী ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভুষিরভিটা পর্যন্ত আরও ১ কিলোমিটার নদী ভাঙনের হুমকির সম্মুখিন থাকায় অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধটি হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তাটি উঁচু ও প্রশস্তকরণের মাধ্যমে বন্যার পানি থেকে রক্ষা এবং ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ স্থাপন করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ স্থাপন করা না হলে আসন্ন বন্যা এবং নদী ভাঙনের কবলে শত শত ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এব্যাপারে উড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল পাশা জানান, চলতি শুস্ক মৌসুমে রাস্তাটি পুন: নির্মাণ ও জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হবে। এতে এই এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা পুন: নির্মাণ ও ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রক্ষার লক্ষ্যে অবিলম্বে প্রতিরক্ষামূলক কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান জানান, বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।