Hits: 47
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীতে প্রচুর ইলিশ মাছ পাওয়া সত্ত্বেও এ বছর জাটকা জোন থেকে বাদ পড়েছে গাইবান্ধা জেলা।
জেলা জাটকা জোনের বাইরে থাকায় এ বছর জেলার উপজেলাগুলোতে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে না। ফলে নদীর তীরে বসবাসকারী জেলেদের জাটকা (১০ ইঞ্চির চেয়ে ছোট ইলিশ মাছ) ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফয়সাল আজম জানান, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২২ শুরু হয়েছে ৩১ মার্চ এবং তা চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গাইবান্ধা জেলাকে জাটকা জোন থেকে মুক্ত করায় এ বছর জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে না গাইবান্ধাকে কেন জাটকা জোন থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
খুলনায় কর্মরত সাবেক জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুদ দায়ান দুলু বলেন, বিগত বছরগুলোতে গাইবান্ধা জেলা জাটকা জোনের অধীনে ছিল, ফলে জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ যথাযথভাবে পালিত হয়েছে।
জাটকা রক্ষায় হাটবাজার ও নদীর তীর সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সপ্তাহ উপলক্ষে সচেতনতামূলক অনেক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইলিশ নিষেধাজ্ঞার আগে ও পরে জেলেরা এখানে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরেন, তাই জেলাকে জাটকা জোনের আওতায় আনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সদর উপজেলার কামারজানি বন্দর এলাকার সমাজসেবক সাদ্দাম হোসেন পবন বলেন, এর আগে প্রতি বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে জেলেদের জন্য অনেক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হয়, ফলে এখানকার জেলেরা নদীতে জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকতো। সারা বছরই জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।
কিন্তু এ বছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন না করায় নদীতে ইলিশ মাছ পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
কামারজানি মার্চেন্টস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুকুল ইসলামও একই ধরনের মন্তব্য করেন এবং জেলাটিকে আবার জাটকা জোনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
তবে নদীতে ইলিশ মাছ রক্ষার লক্ষ্যে জেলাকে আবারও জাটকা জোনের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের সদস্যরা।