মাতৃভূমিতে ভালোবাসায় সিক্ত হলেন প্রবীণ সাংবাদিক গোবিন্দলাল

প্রচ্ছদ

লিড নিউজ

মাতৃভূমিতে ভালোবাসায় সিক্ত হলেন প্রবীণ সাংবাদিক গোবিন্দলাল

সাপ্তাহিক দারিয়াপুর ডেস্ক

প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৯ মার্চ, ২০২২
২৪৯

নিজ জন্ম এলাকায় ভালোবাসায় সিক্ত হলেন প্রবীণ সাংবাদিক গোবিন্দলাল দাস

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নিজ জন্ম এলাকা লেংগাবাজারে সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন প্রবীণ সাংবাদিক সাহিত্যিক গোবিন্দলাল দাস। লেংগা বাজার আইডিয়াল কলেজ মাঠে গত সোমবার সন্ধ্যায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগমে প্রবীণ এই সাংবাদিককে সংবর্ধনা জানানো হয়। এ গণ সংবর্ধনার আয়োজন করেন এলাকাবাসীর পক্ষে ময়নুল ইসলাম। গোবিন্দলাল দাস ১৯৪৬ সালের ২৫ জুলাই লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের হাট লক্ষ্মীপুর বন্দরে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সাল থেকে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন।

তিনি দৈনিক যুগান্তর ও বাংলাদেশ বেতারের জেলা প্রতিনিধি এবং গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান। অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুুল ইসলাম বাবু, পুরস্কারপ্রাপ্ত ফটো সাংবাদিক কুদ্দুস আলম, কবি সাংবাদিক রজতকান্তি বর্মন ও অধ্যক্ষ টি.আই.এম মিজানুর রহমান, সংবর্ধনা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক তরুণ সাংবাদিক ময়নুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক প্রবীণ সাংবাদিক সাহিত্যিক গোবিন্দলাল দাসকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গুণীজনদের সম্মান না জানালে সমাজের মঙ্গল হয় না। কারণ গুণীজনের দেখানো পথ অনুসরণ করে চলতে হয়। গোবিন্দলাল দাসের মতো গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা জানিয়ে এলাকাবাসী মহান দায়িত্ব পালন করেছে।

সংবর্ধনার উত্তরে প্রবীণ সাংবাদিক গোবিন্দলাল দাস আয়োজকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন সাংবাদিকতার জীবনে মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছেন তা অতুলনীয়।

অনুষ্ঠানে গোবিন্দলাল দাসকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তাঁর হাতে সম্মামনা ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান। এছাড়া গাইবান্ধা জেলা বারের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুুল ইসলাম বাবু এই প্রবীণ সাংবাদিকের হাতে ফুল ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। অনুষ্ঠানে অতিথিদেরও ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট দেয়া হয়। পরে ভাওয়াইয়া গানের অনুষ্ঠান ‘গাড়িয়াল বন্ধু’ শীর্ষক এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গভীর রাত পর্যন্ত পরিবেশিত হয়। এতে দেশের খ্যাতিমান ভাওয়াইয়া শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।