Hits: 2
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস দিবস হরতাল কোনো ধরনের সহিংসতা, ভাংচুর বা অগ্নিসংযোগের মতো বিশৃঙ্খল ঘটনা ছাড়াই গাইবান্ধায় শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকাসহ বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মোড়ে অবস্থান নিয়ে এ হরতাল পালন শুরু করে বামজোট নেতাকর্মীরা।
শহরের প্রধান সড়ক ডিবি রোডে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরতালে সমর্থন জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের শরিক দল সিপিবি, বাসদ-মার্কসবাদী, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, বাসদ, নেতাকর্মীরা ১নম্বর ট্রাফিক মোড় থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি দুইভাগে ডিবি রোড, ব্রীজ রোড, স্টেশন রোড, সার্কুলার রোড, গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়ক, কলেজ রোড ঘুরে আবার ট্রাফিক মোড়ে অবস্থা নেয়।
ডিবি রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ থেকে বামজোট জেলা নেতৃবৃন্দ বলেন, ভোজ্যতেল সহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানো, মুনাফালোভী সিন্ডিকেট ভেঙে সামরিক রেটে গ্রাম-শহরে মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ রেশনিং পদ্ধতি চালু এবং টিসিবির পরিধি বৃদ্ধির দাবি জানান। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করছি। মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।
হরতালে কারণে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে সীমিত পরিসরে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। এসময় বিপনীবিতান ও মার্কেটগুলো বন্ধ থাকলেও কিছু কিছু দোকানপাট খোলা দেখা যায়।
এরআগে রোববার রাতে হরতালের সমর্থনে গাইবান্ধা জেলা শহরের ১নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে বামজোটের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি ডিবি রোডে উঠলে পুলিশী বাঁধার মুখে পড়ে। এসময় গাইবান্ধা সরকারি মহিলা কলেজের সামনে পুলিশ মিছিলে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এসময় মিছিল থেকে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের জেলা সাধারণ সম্পাদক রানু সরকার, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সভাপতি ওয়ারেছ সরকার, বাসদ মার্কসবাদী জেলা নেতা নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পীসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পাঁচ ঘন্টা পর মাঝরাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সাপ্তাহিক দারিয়াপুর