মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১১:১১ অপরাহ্ন
ঘোষণা :
গাইবান্ধায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ।।ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন হটাতে হবে সাথে ব্যবস্থার বদল করতে হবে দুঃশাসন হটাতে চাই, সাথে ব্যবস্থার বদল করতে চাই -পথসভায় কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে দারিয়াপুরে কমিউনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ দারিয়াপুরে ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে বরণে নানা আয়োজন গাইবান্ধায় কমিউনিস্ট পার্টির বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় কমিউনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গাইবান্ধায় সিপিবি’র আলোচনা সভা ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দারিয়াপুরে কমিউনিস্ট পার্টির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গাইবান্ধায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় কমিউনিস্ট পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশ
শিরোনাম :
গাইবান্ধায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ।।ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন হটাতে হবে সাথে ব্যবস্থার বদল করতে হবে দুঃশাসন হটাতে চাই, সাথে ব্যবস্থার বদল করতে চাই -পথসভায় কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে দারিয়াপুরে কমিউনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ দারিয়াপুরে ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে বরণে নানা আয়োজন গাইবান্ধায় কমিউনিস্ট পার্টির বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় কমিউনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গাইবান্ধায় সিপিবি’র আলোচনা সভা ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দারিয়াপুরে কমিউনিস্ট পার্টির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গাইবান্ধায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় কমিউনিস্ট পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশ

সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে গাইবান্ধায়  সাঁওতালদের মানববন্ধন

সাপ্তাহিক দারিয়াপুর ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৬১

Hits: 2

সাঁওতালসহ জাতিগত সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে প্রায় দু’ঘন্টাব্যাপি গাইবান্ধা ডি.বি. রোড গানাসাস মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সাঁওতালরা। বেসরকারি সংগঠন জনউদ্যোগ ও অবলম্বন এই এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এই মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে মানববন্ধন ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, পরিবেশ আন্দোলন-গাইবান্ধা জেলা আহবায়ক ওয়াজিউর রহমান রাফেল, জেলা বারের সধারণ সম্পাদক ও আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা বাবুল রবিদাস, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর কবির, আদিবাসী নেত্রী প্রিসিলা মুরমু, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের সদর উপজেলার আহবায়ক গোলাম রব্বানী মুসা, মার্কসবাদী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মৃনাল কান্তি বর্মন, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, জেলা রবিদাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খিলন রবিদাস, আদিবাসী নেত্রী তৃষ্ণা মুর্মু, বৃটিশ সরেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার এতো বছর পরেও বাংলাদেশে আদিবাসীদের নিজ মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। বর্তমানে দেশের ৪৫টির মতো আদিবাসী গোষ্ঠীর ২০ লাখেরও বেশি শিশু বংশ পরম্পরায় ভুলতে বসেছে তাদের নিজস্ব ভাষাগত ঐতিহ্য, লোকগাথা, প্রবাদ-প্রবচন ইত্যাদি। আদিবাসী শিশুদের নিজ মাতৃভাষায় অক্ষরজ্ঞান না থাকায় তাদের সংস্কৃতিও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। একটি শিশুর স্বকীয়তা, সৃজনশীলতা, মননশীলতা ও মেধার বিকাশ হয় তার মাতৃভাষার মধ্য দিয়ে। তাই আদিবাসী শিশুদের এ দেশে সাধারণভাবে শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকা হতদরিদ্র আদিবাসী গোষ্ঠীর প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভাষা ও নিজ ভাষার বর্ণলিপি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু চর্চার অভাবে এসব বর্ণমালার সবই এখন বিলুপ্তপ্রায়। ফলে নতুন প্রজন্মের আদিবাসীরা নিজ ভাষায় কথা বলতে পারলেও নিজস্ব ভাষায় তারা একেবারে নিরক্ষর।
বক্তরা আরও বলেন, গাইবান্ধাসহ আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অবিলম্বে আদিবাসীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক, গাইবান্ধা জেলায় আদিবাসী কালচারাল একাডেমি প্রতিষ্ঠাসহ তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ নেয়ার দাবী জানান। বুকের রক্ত দিয়ে এ দেশ ভাষার মর্যাদা প্রথিষ্ঠা করে সারাবিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। অথচ এ দেশেই ভাষাগত সংখ্যালঘু জাতিগুলোর মাতৃভাষা কি বঞ্চিত থাকবে? বিকাশের জন্য মাতৃভাষা অত্যন্ত জরুরি। মাতৃভাষায় শিশু শিক্ষার বিকল্প তো হতে পারে না।
পৃথিবীর সব ভাষার প্রতি সম্মান এবং সংখ্যালঘু ও দুর্বল সম্প্রদায়ের ভাষা রক্ষায় সব দেশের সরকারদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও সক্রিয় থাকা উচিত। দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা চর্চা ও বিকাশ নিশ্চিত করার মাধ্যমেই দেশের সব জাতির মাতৃভাষার প্রতি আমাদের সম্মান নিশ্চিত করা সম্ভবপর হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সাপ্তাহিক দারিয়াপুর

কারিগরি সহায়তায় : শাহরিয়ার হোসাইন