Hits: 17
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধ, সবত্র ওএমএস বিক্রয় কেন্দ্র চালু ও সারাদেশে সংখ্যালুঘু সম্প্রদায়ের পূজামন্ডপে-বাড়ীঘরে হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট, গাইবান্ধা জেলা।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বেলা ১২টায় গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডে ১নং রেল গেইট এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা সমন্বয়ক ও সিপিবি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহবায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ, সিপিবি’র সাবেক জেলা সভাপতি ওয়াজিউর রহমান রাফেল, জেলা বাসদ সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) জেলা নেতা মৃণাল কান্তি বর্মণ, বাসদ জেলা ফোরাম সদস্য সুকুমার মোদক, বাসদ মার্কসবাদী জেলা নেতা নিলুফার ইয়াছমিন শিল্পী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত কয়েক বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর-মন্দিরে বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে, সরকার কোনটিরই সঠিক বিচার করতে পারে নাই। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের নাগরিকরা এমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আর এর দায় বর্তমান সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারে না। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সাথে বারবার আপোষ করার কারণে তারা আরও বেশি উৎসাহিত হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে যখন দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, মানুষ যখন বিক্ষুব্দ হয়ে উঠছে সেই সময় দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা কিনা তাও প্রশ্ন করেন। তারা বলেন, এসব ঘটনায় একপক্ষ অপর পক্ষকে দোষ চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা না করে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি করেন। সেইসাথে গ্রামে শহরে সবত্র ওএমএস, টিসিবি’র সরবরাহ বাড়িয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করেন।
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সাপ্তাহিক দারিয়াপুর