Hits: 51
গাইবান্ধার বালাসীঘাট থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত ফেরি চলাচলের জন্য সম্প্রতি ১৪৫ কোটি টাকা ব্যায়ে দুই পাড়ে টার্মিনাল ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এখন তারা বলছে এ পথে ফেরি চলাচল সম্ভব নয় এবং এ প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে যথাযথ সমীক্ষা করা হয়নি। এতে গাইবান্ধার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সোমবার (৩০ আগষ্ট) সকাল ১১টায় বালাসীঘাটে নাগরিক মঞ্চ, গাইবান্ধার ডাকে বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে গাইবান্ধার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও বালাসীঘাট এলাকার জনসাধারণ উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রের ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ের পর বালাসী নৌ-বন্দর চালু নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানান।
গাইবান্ধার বালাসীতে রাস্তা অবরোধ
নাগরিক মঞ্চের সিনিয়র সদস্য ওয়াজিউর রহমান রাফেলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মারুফ মনা, নাগরিক মঞ্চের সদস্য সচিব এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ, গণফোরামের সভাপতি ময়নুল ইসলাম রাজা, গাইবান্ধা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মকসুদার রহমান শাহান, প্রবীণ সাংবাদিক এসকে মজিদ মুকুল, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি প্রণব চৌধুরী খোকন, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি মোস্তফা মনিরুজ্জামান, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা আহবায়ক এ্যাড. নওশাদুজ্জামান, কঞ্চিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মিয়া, বাসদ (মার্কসবাদী)র কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র মৃণাল কান্তি বর্মণ, সাংবাদিক হেদায়তুল ইসলাম বাবু, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলি রানী দেবী, যুব ইউনিয়ন নেতা রানু সরকার, মেহেদী হাসান বাবু প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু।
বক্তারা বলেন, বালাসিঘাট থেকে বাহাদুরাবাদঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য বিআইডবিøউটিএ ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালসহ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি বিআইডাব্লিউটিএর এক প্রতিবেদনে এই পথে
বালাসীঘাট নৌবন্দর চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
আর ফেরি চালু করা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করা হয়। সম্ভাব্যতা যাচাই বাছাই ছাড়াই প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় এই ফেরি রুটটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, এর জন্য দায়ী কে, কার বা কাদের স্বার্থে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছিল?
অবিলম্বে বালাসিঘাট থেকে বাহাদুরাবাদঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এই বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি ও দুর্নীতির উৎস খুঁজে বের করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। সেইসাথে উত্তরবঙ্গে প্রবেশের বিকল্প পথ হিসেবে গাইবান্ধার বালাসিতে ব্রহ্মপুত্র সেতু বাস্তবায়নের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সাপ্তাহিক দারিয়াপুর