Hits: 23
“আমি শিশু পড়তে চাই, বিয়ে নয় বই চাই” এই শ্লোগানে প্ল্যানইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং সুরভি কর্তৃক বাস্তবায়িত চাইল্ড ব্রাইড টু বুক

ওয়ার্ম প্রকল্পের আয়োজনে প্রকল্প কার্যক্রমের অগ্রগতি অবহিতকরণ সভা হয়।
বুধবার রদেভু ঢাকার খিলগাঁও রদেভু রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে এ সভার আয়োজন করা হয়।
অবহিতকরণ সভায় বলা হয়, দেশে করোনা মহামারীর কারনে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক শিশু লেখাপড়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে।
নিম্নআয়ের পরিবারের সন্তানেরা স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট সেবা না থাকায় অনলাইন ক্লাশ করতে পারছে না।
পিছিয়ে পরা শিশুদের শিখন ঘাটতি দূর করা এবং লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রকল্পের পক্ষ থেকে “বিগ্র ব্রাদার বিগ সিস্টার” শিখন এপ্রোচে শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
স্কুল পুনরায় খোলার প্রস্তুুতি হিসেবে প্রকল্পের আওতায় ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন স্থাপন, বিদ্যালয় জীবানুমুক্ত করা, রং করা এবং বিভিন্ন হাইজিন উপকরণ বিতরণ করা হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিকর্পোরেশন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর (১, ১১, ১২) ফারহানা ইসলাম ডলি বলেন, করোনা কালে শিশুদের শিক্ষা সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর বাবা-মাদের সচেতন করতে হবে, যেন তাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে অল্প বয়সে বিয়ে না দেয় এবং ছেলেদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে না পাঠান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিকর্পোরেশন ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম মাহবুব বলেন, সুরভি-প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ভালো কাজ করছে, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে শিশুদের সঠিক জ্ঞান ও আচরণ শেখাতে পারে।
সভায় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিকর্পোরেশনের সংরক্ষিত ১, ১১, ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি, ঢাকা দক্ষিণ সিটিকর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম মাহবুব, মতিঝিল থানার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারাহ দিবা, খিলগাঁও মডেল হাইস্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাতাশে হাওলাদার, খিলগাঁও মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মোঃআসলাম উদ্দিন মোল্লাহ, খিলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল লতিফ, প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো: জায়েদ হোসেন, সুরভির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন ককর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা রিতু।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি এবং সঞ্চালনা করেন, চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম প্রকল্পের
ডকুমেন্টেশন এন্ড রির্পোটিং কো-অর্ডিনেটর, মাকসুদুল কবীর মন্ডল,
একটি গবেষণা প্রতিবেদন সূত্র উল্লেখ করে বলা যে, ঢাকার বস্তিবাসীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ মেয়ে শিশুদের বয়স ১৮ হওয়ার পূর্বেই তাদের পরিবার থেকে বিয়ের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। আবার ১০-১৪ বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে শিশুর এক তৃতীয়াংশ বিভিন্ন বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়ে এবং উন্নত জীবনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং একই সাথে রাষ্ট্র ভবিষ্যৎ জাতি গঠনের সুযোগ হারায়।
এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঢাকা শহরের বস্তি এলাকা বা নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ করা এবং তাদের মাধ্যমিক শিক্ষা কোর্স সম্পন্ন করা। প্রকল্পটি ঢাকা দক্ষিণ সিটিকর্পোরেশন এলাকায় ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেনীর শিশুদের বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে।