Hits: 5
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলের বিরুদ্ধে বিশেষ একটি কুচক্রী মহল রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে সুপরিকল্পিতভাবে মানহানিকর অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে তিনি কুচক্রী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, শৈশব থেকেই আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল মুজিব আদর্শের ধারক। তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। তিনি বামনডাঙ্গা আব্দুল হক ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষকও। এছাড়াও তিনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং রেজিস্ট্রার্ড সামাজিক প্রতিষ্ঠান বামনডাঙ্গা বহুমুখী জনকল্যাণ সংঘের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ব সন্ত্রাস বিরোধী সংগঠন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৬নং সর্বানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশী। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তিনি জনসম্পৃক্ততামূলক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে স্থানীয় একটি মহল তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই অপপ্রচারের অংশ হিসেবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য সম্বলিত অভিযোগ দিয়েছেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক পরিচয়দানকারী মিজানুর রহমান মিজান। ওই মিজান এর আগে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছেন। এলাকায় এই মিজান মাদকসেবী ও নারী কেলেংকারীর নায়ক হিসেবে পরিচিত।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০২ সালে বামনডাঙ্গা আঞ্চলিক ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ও ২০০৩ সালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক থাকার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সেই সময়কার ছাত্রদলের কমিটির নামের তালিকা স্ক্যান করে তার নাম বসানো হয়েছে। সর্বানন্দ ইউনিয়নের আজেপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্কের জের ধরে ওই মাদ্রাসার সুপার এএসএম ছাত্তার বাদি হয়ে তার এবং সুন্দরগঞ্জ আওয়ামী পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের মিথ্যা মামলা (জিআর ২৭৫/২০১০) করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ও অন্য আসামিদের মামলা থেকে চুড়ান্তভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওই মাদ্রাসার সুপার জামায়াতে ইসলামের একজন সক্রিয় নেতা। তার বিরুদ্ধে বামনডাঙ্গায় ৪ পুলিশ হত্যা, বোনারপাড়া রেলওয়ের সম্পদ নষ্টের ঘটনার মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। অপরদিকে আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল ২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধী, মানবতা বিরোধী জামায়াত নেতা মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে বামনডাঙ্গায় সহিংসতা ঘটনায় ৪ পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী।
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সাপ্তাহিক দারিয়াপুর